• শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কেন বুড়িয়ে যাই?

অনলাইন ডেস্ক

দৈনিক ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৮  

জঁ কামো নামের এক ফরাসি নারী ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর ১৬৪ দিন বয়সে মারা যান। ইতিহাসে তিনিই হলেন সবচেয়ে বেশি আয়ু পাওয়া মানুষ। সত্যিই দীর্ঘ এক জীবন পেয়েছেন তিনি। অনেকেই হয়ত ভাববেন তিনি অত্যন্ত ভাগ্যবান। কিন্তু বাস্তবে এত বয়স পর্যন্ত বাঁচা বেদনাদায়কও বটে! তার শৈশব, কৈশোর এমনকি যৌবনেরও অনেক প্রিয় মানুষ, প্রিয় জায়গা হারিয়ে গেছে তার মৃত্যুর অনেক আগেই! বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীর বুড়িয়ে যায়, এটি ধ্রুব সত্য। কিন্তু জানেন কি, শরীরের বুড়ো হবার অসীম ক্ষমতা নেই? এটি ৯০ বছর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।

অর্থাৎ কোনো মানুষ যদি ১২০ বছর বাঁচেন, জীবন সায়াহ্নে তার চেহারা ৩০ বছর আগের মতোই থাকবে! চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বয়সের সঙ্গে দেহের কাঙ্খিত পরিবর্তনকে বলা হয় 'এজি়ং'। এজিং এর ফলে আস্তে আস্তে জীবনীশক্তি নিঃশেষ হয়ে যায় এবং একদিন না একদিন 'মানুষ মরণশীল' এই নীতি অনুসরণ করে মৃত্যুবরণ করতে হয়। কিন্তু এই এজিং কি? জীবনীশক্তি নিঃশেষ হওয়ার সঙ্গে এর কি সম্পর্ক?

জীবনের প্রতিটি ধাপে ধাপে মানুষের বয়সের তারতম্য দেখা যায়। বাচ্চাদের বয়স বাড়লে বলে থাকি বাচ্চাটি 'বেড়ে উঠছে' বা বড় হচ্ছে। আবার কোনো মধ্যবয়স্ক লোকের বেলায় বলি তিনি 'বুড়ো হচ্ছেন'। এজিং এর একটি পরিপূর্ণ বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা পাওয়া সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ। সহজভাবে বলা যায় এজিং তখনই ঘটে যখন দেহের সহজাত প্রক্রিয়াগুলো বাইরের বিভিন্ন ক্রীড়নক যেমন-রোদ, বায়ু দূষণ, খাদ্যে ভেজাল ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং দেহের বিভিন্ন কোর্স এবং রাসায়নিক অণুতে স্থায়ী পরিবর্তন আসে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –