• শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘জান্নাত’

দৈনিক ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৮  

মানুষের আসল ও শেষ ঠিকানা পরকাল। পরকালে মানুষের বসবাসের জন্য থাকবে দু’টি ব্যবস্থা। তার একটি হলো জান্নাত আর অন্যটি জাহান্নাম।

যারা কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করে ভালো কাজে নিজেকে যোগ্য করে গড়বে তাদের চিরস্থায়ী আবাস হবে জান্নাত। কিন্তু এ জান্নাতের ঘরসমূহ কিসের তৈরি? কী কী উপাদান দিয়ে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের ঘরসমূহ তৈরি করেছেন।

প্রিয়নবী (সা.) এর হাদিসে পাকে সে বর্ণনা প্রকাশ করেছেন-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জান্নাতের ঘরসমূহ (সৃষ্টি) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে তিনি বলেন-

> জান্নাতের একটি ইট রুপার;

> অপরটি (একটি ইট) সোনার; আর

> তার আস্তর হলো মিস্ক;

> তার সুরকি হলো মণি-মুক্তার পাথর। আর

> জান্নাতের মাটি হলো জাফরান।

 

যে ব্যক্তি একবার জান্নাতে প্রবেশ করবে, সে জান্নাতের নেয়ামত ভোগ করতে থাকবে। কখনও সে হতাশ হবে না। জান্নাতে চিরকাল থাকবে। সেখানে সে কখনও মরবে না। তাদের পরিধেয় কাপড় কখনও পুরাতন হবে না এবং তাদের যৌবন কখনও শেষ হবে না।' (তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)

সুতরাং জান্নাত লাভে মুমিন মুসলমানের উচিত, অন্যায় ও কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেদের হেফাজত করার পাশাপাশি ন্যয় ও সত্যের পথে কঠোর পরিশ্রমে নিজেদের নিয়োজিত করা জরুরি।

জান্নাত লাভে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে সব সময় মহান আল্লাহর কাছে প্রিয়নবীর শেখানো এ দোয়া পড়া-

اَللهُمَّ اِنَّا نَسْألُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّار

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান নার।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা তোমার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় চাই।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে সোনা, রূপা, মিসক, মনি-মুক্তার পাথর এবং জাফরান দ্বারা নির্মিত জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম লাভ করার তাওফিক দান করুন। জান্নাতুল ফেরদাউস লাভ করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –