• মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৬ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জিয়া-খালেদার বর্বরতার শিকারদের আর্তনাদ শুনুন: তথ্যমন্ত্রী

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২৩  

 
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানাই- আপনারা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার নির্মম বর্বরতার শিকার ও তাদের স্বজনদের কান্না ও আর্তনাদ শুনুন। সেটি সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।   

বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের পেট্রলবোমা হামলায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের সংগঠন ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ এবং ১৯৭৭ সালে সামরিক জান্তার হাতে বিনাবিচারে নিহতদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’ আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের নির্মমতায় ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে। হাজার হাজার সেনাসদস্যকে বিনাবিচারে হত্যা করা হয়েছে, এমনকি আগে ফাঁসি কার্যকর করে পরে রায় দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। রাতের বেলায় ঘুমন্ত অফিসারকে ধরে নিয়ে গিয়ে কোনো বিচার ছাড়াই জেলে ঢুকিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।

নামের মিল থাকায় একজনের পরিবর্তে আরেকজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখন ভুল অফিসারকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাচ্ছে, তখন সে আর্তনাদ করেছে যে, আমি নই-এটা আমি নই, কিন্তু কে শোনে কার কথা! ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সেই নির্মমভাবে নিহতদের সন্তানেরা আজ ‘মায়ের কান্না’ ব্যানারে কান্নারত।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা রাজনীতি জানে না, বোঝে না- জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বের হওয়া শত শত নিরপরাধ মানুষও ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসদের পরিচালনা-অর্থায়ন ও নির্দেশে খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের সন্ত্রাসীবাহিনী সারাদেশে নির্বিচারে পেট্রলবোমা হামলা করেছিল। অথচ সেই খালেদা-তারেক-ফখরুলরাই আজকে বড় বড় কথা বলছেন।

তিনি আরো বলেন, আজ যারা মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে যখন মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করা হয়েছিল তখন তারা কোথায় ছিল? পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাওয়ার অধিকার সন্তানদের আছে। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সেই অধিকার যখন কেড়ে নেয়া হয়েছিল, তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় ছিল? 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি ও জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসে দগ্ধ সার্জেন্ট কামাল পাশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সহ-সভাপতি জেসমিন সুলতানা, ঢাবির ফার্মাসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ‘মায়ের কান্না’র উপদেষ্টা প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া, আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেলিন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’র আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বাবু প্রমুখ।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –