• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৬ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তারেককে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়েই জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২৩  

ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে লোক দেখানো আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। তবে এসব আন্দোলনের নেপথ্যে ছিল তারেক রহমানকে প্রতিষ্ঠিত করা। তবে সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি বিএনপির। তাই দলটি আজ জনবিচ্ছিন্ন।

বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত একজন নেতা বলেন, ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারেক রহমান তার মা খালেদা জিয়ার সহচর হিসেবে সারাদেশের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও তিনি খালেদা জিয়ার প্রচারণা কার্যক্রমের পাশাপাশি পৃথক পরিকল্পনায় সারাদেশে প্রচারণা চালান।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়েই বিএনপির রাজনীতিতে আলাদা বলয় গড়ে তুলতে শুরু করেন তারেক রহমান। ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নিজ দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। একে একে দলের নেতারা ভিড়তে থাকেন তারেক রহমানের কাছে। নেতাশূন্য হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। তারেকের এ আধিপত্য দেখে সংস্কারপন্থীতে নাম লেখান দলের অনেক সিনিয়র নেতা।

দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির অধঃপতনের যাত্রা তখন থেকেই শুরু। দলের মধ্যেও শুরু হয় বিভাজন। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি শূন্য করে তারেক রহমানকে বিএনপির রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ শুরু করে একটি অংশ। এর প্রভাব পড়ে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ঐ নির্বাচনে ভরাডুবিতে ভেঙে পড়েন বিএনপির নেতারা। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পদোন্নতি পান তারেক রহমান। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগারে গেলে পরবর্তীতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তিনি।

বিএনপির শীর্ষ ও প্রভাবশালী একজন নেতা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, ক্ষমতা হারানোর পর থেকে বিএনপির আন্দোলন বলতে কিছু ছিল না। এ সময়টাতে বিএনপির একটি অংশ তারেক রহমানকে দলের দায়িত্বে বসানোর জন্য সংগ্রাম করেছে। আজ তারা পুরোপুরি সফল। কিন্তু এ সময়ে বিএনপি দেশের জনগণের জন্য বা দলের জন্য তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –