• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৬ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ভারতের সন্তুষ্টি অর্জনই বিএনপির মূল লক্ষ্য    

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২৩  

 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বাকি ছয় মাস। এ সময়ে ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত বিএনপির মূল লক্ষ্য ভারতের সন্তুষ্টি অর্জন। বিএনপির নেতারা মনে করছেন- ভারত যদি বাংলাদেশের নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গে না নেয় এবং এই নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করে তাহলে তাদের কোনো চেষ্টাই সফল হবে না। আর এ কারণেই ভারতের মন জয়ের চেষ্টায় ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছেন বিএনপি নেতারা।

সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি যেকোনো উপায়েই ভারতকে খুশি করতে চায়। এজন্য তারা নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

দলটির গোপন সূত্র জানায়, ঐ পরিকল্পনায় ২০১৮ এর পর থেকে বিএনপির যে পরিবর্তনগুলো হয়েছে, তার একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে বিএনপির যেসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল, তার অনেকগুলোরই সমাধান হয়েছে- সে প্রসঙ্গটিও ভারতকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

বিএনপির সিনিয়র ও দায়িত্বশীল এক নেতা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, দলটির তিনজন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. মঈন খান এবং আবদুল আউয়াল মিন্টু রয়েছেন। এই তিন নেতাই খুব শিগগিরই ভারতে যাবেন এবং সেখানকার থিংকট্যাংকদের সঙ্গে কথা বলবেন।

২০১৮ নির্বাচনের আগেও বিএনপি ভারতের মন গলাতে চেষ্টা করেছিল। সে সময় বিএনপির নেতারা ভারতে গিয়েছিলেন এবং ভারতের থিংকট্যাংকদের সঙ্গে নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। এ সময় ভারতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে তিনটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো হলো- তারেক জিয়াকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া, জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখা এবং দলের ভেতরে যাদের উগ্র মৌলবাদী চিন্তা আছে তাদের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া। তবে ভারতের একটি পরামর্শও বিএনপি গ্রহণ করেনি। 

তবে কৌশল হিসেবে সে সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে ভারত বন্দনা করেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছিলেন, ভারত আমাদের বন্ধু, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে আমরা এগিয়ে নিতে চাই। কিন্তু ভারত বিএনপির কৌশল বুঝতে পেরেছিল। তাই দলটির আস্থা পায়নি ভারত। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি নেতারা ভারতবিরোধী ভূমিকা পালন করেন।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো ভারত বন্দনা করছে বিএনপি। বিএনপি নেতারা এখন মনে করছেন, ভারতকে আস্থায় আনতে না পারলে কোনো অর্জনই কাজে আসবে না। তাই বিএনপি নেতারা এখন বলছেন- তারা জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। যদিও গোপনে তাদের আঁতাত রয়েছে বলে জানা গেছে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –