• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

বর্তমানে পিয়াজের কোনো ঘাটতি নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২৩  

 
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, দেশে পিয়াজের চাহিদা ২৫ থেকে ২৭ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে পিয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। সোমবার জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এসব তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। 

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। সোমবারের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়। 
টিপু মুনশি বলেন, দেশে চিনি ও পিয়াজের বর্তমান বার্ষিক চাহিদা যথাক্রমে ২০-২২ লাখ মেট্রিক টন ও ২৫-২৭ লাখ মেট্রিক টন। চিনি ও পিয়াজের উৎপাদন প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন ও ২৮.১১ লাখ মেট্রিক টন (প্রকৃত উৎপাদন প্রায় ৩৭,৪৯ লাখ মেট্রিক টন। তন্মধ্যে প্রক্রিয়াজাত ক্ষতি বাদ দিয়ে অবশিষ্ট থাকে ২৮.১১ লাখ মেট্রিক টন)। চিনির দেশীয় উৎপাদন অতি নগন্য হওয়ায় প্রায় ৯৯% চিনির চাহিদা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হইয়া থাকে। দেশ বর্তমানে পিয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। তবে আমদানি উন্মুক্ত না থাকিলে স্থানীয় সরবরাহে চাপ সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয় মূল্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হইয়া থাকে। আমদানি উন্মুক্ত থাকিলে ২০% পিয়াজ আমদানি করা হইয়া থাকে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই ২০২২ থেকে ২৭ মে ২০২৩) পর্যন্ত চিনি আমদানির এলসি ওপেনের পরিমাণ ১৬.৬৭ লাখ মেট্রিক টন এবং পিয়াজ আমদানির পরিমাণ ৫.৬৩ লক্ষ মেট্রিক টন। আন্তজার্তিক বাজারে চিনির মূল্য গত ০৩ মাসে প্রতি মেট্রিক টন প্রায় ১৬০ ডলার বৃদ্ধি পাইয়াছে। ইহা ব্যতীত আমদানির ব্যয় নির্ধারণে ব্যবহৃত বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের মূল্য গত ০১ বছরে প্রায় ৩০% বৃদ্ধি পাইয়াছে। অপরিশোধিত চিনি পরিশোধনে ব্যবহৃত কেমিক্যালের মূল্যও বৃদ্ধি পাইয়াছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণেও স্থানীয় বাজারে চিনির মূল্য বৃদ্ধি পাইয়াছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্থানীয়ভাবে পিয়াজ উৎপাদন হইলেও আংশিক আমদানি নির্ভরতা রহিয়াছে। আমদানি নির্ভরতা থাকায় পিয়াজের আমদানি মূল্য স্থানীয় বাজারে পিয়াজের মূল্য নির্ধারণে প্রভাবক হিসেবে কাজ করিয়া থাকে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পিয়াজের মূল্যকে সুরক্ষা প্রদানের নিমিত্ত সরকার পিয়াজ আমদানির জন্য ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) ইস্যু করা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখিয়াছে। ভারতে এ বছর পিয়াজের উৎপাদন ভালো হওয়ায় পিয়াজের মূল্য অনেকাংশে হ্রাস পাইয়াছে। এই মূল্যে পিয়াজ আমদানি হইলে দেশীয় চাষীদের ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকায় ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) ইস্যু সাময়িক স্থগিত রাখিয়াছে। যেহেতু স্থানীয় বাজারে পিয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পাইয়াছে তাই মূল্য স্থিতিশীল রাখিবার কারণে ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) ইস্যুর বিষয়টি বিবেচনা করিবার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হইতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হইয়াছে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –