• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

দুর্নীতির মামলায় জেলে যেতে পারেন বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২৩  

নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। এ আন্দোলন করতে গিয়ে বারবারই আইনিভাবে হেরে যাচ্ছে দলটি। এর মধ্যে বিএনপির দু’জন নেতাকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত দণ্ডিত করেছেন। নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছেন। এ বাস্তবতায় সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই ছাড়া বিএনপির সামনে কোনো পথ নেই। আর মামলায় হেরে গেলে ঐ দুই নেতার মতো বিএনপির আরও কিছু নেতাকেও কারাগারে যেতে হতে পারে।

সূত্রে জানা যায়, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দণ্ডিত দুই নেতাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। শুধু দুই নেতাই নন, দলের এরকম আরো ডজনখানেক শীর্ষ নেতা রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে বেশকিছু মামলা চলমান। কিছু মামলার কার্যক্রম শেষদিকে; কিছু মামলায় নিম্ন আদালতের দণ্ড হাইকোর্টে স্থগিত রয়েছে। হাইকোর্ট এখন এসব নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছেন।

আরো জানা যায়, সরকার সম্প্রতি মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যেসব মামলা নিম্ন আদালতে শেষ হয়ে গেছে, সেগুলো উচ্চ আদালতে সমাপ্ত করার ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ জোরদার করা হয়েছে। এটি যদি শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, তাহলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ এক ডজন শীর্ষ নেতা আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন। তারা দণ্ডিত হতে পারেন। ডিসেম্বরের মধ্যেই এরকম ডজনখানেক নেতার কারাগারে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা এখন আইনি লড়াইয়ের শেষ ধাপে এসে উপনীত হয়েছে। এ মামলার রায়ে যদি তিনি দণ্ডিত হন- তাহলে তাকে কারাগারে যেতে হতে পারে। একই অবস্থা বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধেও। তার বিরুদ্ধে হওয়া দুর্নীতির মামলা তদন্ত শেষ পর্যায়ে। এ মামলায় যদি তিনি হেরে যান, তাহলে তার কারান্তরীণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপির আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মামলার কার্যক্রমও শেষদিকে। এ মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে তারও কারান্তরীণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়াও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম খান, মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিনসহ এক ডজন নেতা আছেন- যারা আইনি লড়াইয়ে ব্যাকফুটে রয়েছেন এবং তাদের মামলার কার্যক্রমও প্রায় শেষ পর্যায়ে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। মামলাগুলো বেশিরভাগই হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে আছে। কোনো কোনো মামলা তদন্ত পর্যায়ে থেমে আছে। এই কারণে  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন নেতা শুধু আইনি লড়াই থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পেরেছেন। আর অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো যদি ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে যায়, তাহলে তাদের বড় একটি অংশ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আযোগ্য বলে  ঘোষিত হতে পারেন।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –