• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিএনপির হাতেই বন্দি খালেদা জিয়া     

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ মে ২০২৩  

 
রাজনীতিতে সক্রিয় হতে না হতেই ফের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে। বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে কেবিনে অবস্থান করছেন তিনি। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চিকিৎসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সেখানে কেবিনে রেখে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, কেবিনে রেখে কাউকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা সম্ভব নয়। নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হয় সিসিইউতে অথবা আইসিইউতে। কিন্তু বেগম জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি এরকম হয়নি।

জানা গেছে, খালেদা জিয়া যেদিন হাসপাতালে যান সেদিন তিনি গাড়ি থেকে নেমে খানিকটা হেঁটেছিলেন, তারপর তাকে হুইল চেয়ারে বসানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ঈদের দিনে বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ ছিলেন। তিনি প্রায় দুই ঘণ্টা দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। এ নিয়ে স্থায়ী কমিটির সব সদস্যই ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় জানিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন এবং তিনি সপ্রতিভ। কিন্তু হঠাৎ করেই অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাকে কেন হাসপাতালে ভর্তি করা হলো- এ নিয়ে রাজনীতিতে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। 

কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, খালেদা জিয়া সাম্প্রতিক সময়ে যেসব রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা বিএনপির জন্য বুমেরাং হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে তারেক রহমানের নির্দেশে এভারকেয়ার হাসপাতালে বন্দি করা হয়েছে খালেদা জিয়াকে। তিনি আসলে অসুস্থ নন, কিন্তু হাসপাতালে রেখে তার সঙ্গে নেতাকর্মীদের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

এর আগে, খালেদা জিয়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার ফিরোজার বাসায় ডেকে এক ঘণ্টারও বেশি সময় আলাপ করেন। এ সময় তিনি নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে অবস্থান নেন বলে জানা গেছে। 

ঈদের সময়ও তিনি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। সে বৈঠকেও খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান রাখার জন্য দলের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশ দেন।

আরেকটি এক-এগারো যেন কোনোভাবেই না আসে খালেদা জিয়া সে ব্যাপারেও নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন। এরপরই বিএনপির মধ্যে শুরু হয় বিভ্রান্তি। এই বার্তা তারেক রহমানের কাছেও পাঠানো হয়। তারেক রহমান উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কারণ, বিএনপি এখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে।

তারা বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। কিন্তু এরকম আন্দোলনের মধ্যে যদি খালেদা জিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দেন তাহলে সেটি বিএনপির জন্য অস্বস্তির কারণ হবে। এর ফলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়বেন। 

বিএনপি নেতারাই স্বীকার করছেন- দলের শতকরা নব্বই শতাংশ নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার পক্ষে। বেগম জিয়া যে নির্দেশ দেবেন সেই নির্দেশই তারা মানবেন। কাজেই বেগম জিয়া যদি নির্বাচনে যাওয়ার নির্দেশ দেন সেক্ষেত্রে দলের ভেতর নতুন করে ভাঙন সৃষ্টি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –