• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপিতে ভাঙনের শঙ্কা

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২৩  

 
জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব সিটি কর্পোরেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং সিলেট। এই পাঁচটি সিটির মধ্যে দুইটিতে বিএনপির প্রার্থীরা অংশগ্রহণের জন্য মাঠে নেমে গেছেন বলে জানিয়েছে সূত্র। 

সূত্রটি বলছে, এর একটি হলো সিলেটের গত দুই নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এবং বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি এরই মধ্যেই তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে নজরানা নিয়ে লন্ডনে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি চেষ্টা করছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে তারেককে রাজি করানোর। আরেকটি হলো রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তিনিও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর মাধ্যমে লন্ডনে অবস্থানরত তারেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।

পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যদি বিএনপির এসব প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যান, তাহলে বিএনপির নির্বাচন বয়কটের যে বাঁধা, সে বাঁধাটা ভেঙে যাবে বলেও জানায় সূত্র। 

একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিএনপির অনেক প্রার্থী, বিএনপির যে দাবি ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না’সে অবস্থানে থাকবে না। বরঞ্চ তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জের তৈমুর আলম খন্দকার, কুমিল্লার মনিরুল হক সাক্কু, সাবেক এমপি ও খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তারা তারেকের নেতৃত্বের বিরোধীতা করার জন্যও সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। এখন বাস্তবিক পক্ষে বিএনপির এসব প্রার্থীরা যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যান, তাহলে বিএনপির নির্বাচন থেকে দূরে থাকার যে গ্রুপটা রয়েছে, সে গ্রুপটা দুর্বল হয়ে পড়বে। এটাই বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।   

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির অনেক প্রার্থীই এরই মধ্যে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ্রগ্রহণ করেছেন। সে কারণে কেউ কেউ দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন, আবার কেউ কেউ দল থেকে পদত্যাগ করেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে একটি বিষয় এরই মধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে যে, বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরোধীতা করছেন। তারা অনেকেই নির্বাচনমুখী। কিন্তু দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার ভয়ে অনেকেই চুপচাপ রয়েছেন, দলীয় কার্যক্রমে নিজেদের নিষ্ক্রিয় করে রেখেছেন।

তবে বিএনপির যেসব নেতারা এরই মধ্যেই বহিষ্কৃত হয়েছেন, তাদের আর কোনো ভয় নেই। তারা যেকোনো নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে সদা প্রস্তুত। যে কারণেই বিএনপিতে যে গ্রুপটি নির্বাচন বিমুখ রয়েছে, সে গ্রুপটিও ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছে। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, আসছে পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির কোন কোন প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –