• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিদেশি প্রভুদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে দৌড়ঝাঁপ বিএনপির

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০২৩  

২০১৮ সালের নির্বাচনে রাজনীতির কৌশলে শোচনীয় পরাজয়ের পর বিদেশি প্রভুদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন করে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক স্বাভাবিক পর্যায়ে আনার তাগিদ অনুভব করছেন বিএনপি নেতারা।

ভারতের গুডবুকে থাকার জন্য আগের সেই ভারতবিরোধী মনোভাব থেকে বেরিয়ে দেশটির প্রশংসা করার চেষ্টা করছেন বিএনপি নেতারা।

জানা গেছে, ভারতের আস্থা অর্জনের জন্যই ২০১৮ সালের পর জামায়াতকে জোটে সরাসরি না রাখার কৌশল অবলম্বন করে বিএনপি। কিন্তু তলে তলে সব আগের মতোই চলছে।

বিভিন্ন সময়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের জামায়াতবিরোধী বক্তব্যও ভারতসহ পশ্চিমাদের সন্তুষ্ট করার নাটক। এমনকি লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেও চেষ্টা করছেন ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের।

সূত্র বলছে, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মৌলবাদ মোকাবিলায় আগামীতে সোচ্চার থাকবেন বলে ভারতের কাছে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। এক সময় কথায় কথায় গালি দেওয়া বিএনপি নেতারা এখন বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আগের মতো ভারতবিরোধী কট্টর বক্তব্য দেওয়া থেকে সরে এসেছেন।

এদিকে, ভারত-বিএনপি সম্পর্কের অতীত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন নানা কারণে ভারতের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে জামায়াতের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় আসার বিষয়টি সেসময় ভারত খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি।

এছাড়া ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মধ্যরাতে চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা বা সিইউএফএল জেটিঘাটে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার ও ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ভারতকে নাড়া দেয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের বড় অংশজুড়ে ভারতের সীমান্ত থাকায় দেশটি তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি জোটকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করে।

২০১২ সালের পর থেকে রাজপথের আন্দোলনে নামে বিএনপি জোট। এর মধ্যে ২০১৩ সালের মার্চে ঢাকা সফরে আসেন ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। তার সফরের সময় বিএনপির ডাকে হরতাল চলছিল। হরতাল বহাল রেখে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তখন প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা করেননি। সেখান থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরো খারাপ হয় বিএনপির।

জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং বাংলাদেশে আসেন। নির্বাচন নিয়ে চলমান সংকটের মধ্যে তিনি বাংলাদেশে সফরে এসে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু বিএনপির কোনো নেতার সঙ্গে দেখা করেননি তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপিকে এখনই একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয় ভারত। কারণ, ভারতের কাছে এরকম পর্যাপ্ত তথ্য আছে যে, বিএনপির অনেক নেতাই ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন। ফলে জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক হওয়ায় বিএনপি থেকে ভারত দূরেই থাকতে চায়।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –