• শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৫ ১৪৩১

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আ. লীগের মনোনয়নের বিষয়টা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

দৈনিক ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৮  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের মনোনয়নের বিষয়টা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তালিকা প্রায় চূড়ান্ত। তবে ফাইনালি ফিনিংশটা বাকি আছে। আমাদের এলায়েন্সের সাথে আলোচনা করে ফাইনাল করা হবে। আমাদেরটা অলমোস্ট ক্লোজ।

রোববার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নমিনেশনটা দিয়েছি জরিপ রিপোর্টের ভিত্তিতে। যাদের ৬ মাস আগেও খারাপ ছিল তারা হয়তো এখন ভাল হয়েছে, তাই তাদের নমিনেশন দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তবে আগে যারা ছিল তাদের মধ্যে থেকে বাদ পড়েছে কম।

শরিকদের কত আসন দিবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী যেটা বলেছেন তা হলো ৬৫ থেকে ৭০টি আসন শরিকরা পাবে। তবে আলোচনা করে যদি মনে হয়, উইনেবল প্রার্থী তাদের বেশি থাকে তাহলে সেটা বাড়ানো যেতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, যেমন ধরুন, মাশরাফি বিন মর্তুজাকে মনোনয়ন দিলে যিনি সেখানে এখন ইলেকটেড প্রার্থী আছেন তাকে নমিনেশন দেওয়া যাবে না। তাছাড়া ১৪ দলের ইলেকটেড যারা আছে তাদের বাদ দেওয়ার চিন্তা নেই। যদি একান্ত কারো পজিশন খারাপ হয় সেটা ভিন্ন কথা।

কাদের বলেন, জরিপ অনুসারে কেউ যদি ইলেক্টবল না হয়, তাহলে সে ১৪ দল হোক আর যেই হোক তাকে নমিনেশন দেওয়া হবে না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সে নমিনেশন প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন বিষয়টি কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এটা জাতির কাছে বলতে চাই, একজন দণ্ডিত পলাতক আসামি এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারে কি না। এর বিচার জাতির কাছে চাই। ইলেকশন কমিশনের আমি দৃ্ষ্টি আকর্ষণ করছি। দুটি মালায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কেউ এভাবে ভিডিও কনফারেন্স করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে কিনা আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

নির্বাচন কতটুকু ফেয়ার হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বাংলাদেশে এর আগে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে তার চেয়ে এবার আরও ভাল নির্বাচন হবে। স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হবে। শতভাগ স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু কোনো দেশেই হয় না। তবে ভাল নির্বাচন হবে।

বিভিন্ন জরিপের ফলাফলের বিষয়ে কাদের বলেন, দেখুন, ৬ মাস বা ৩ মাস আগের জরিপ এখন ঠিক নেই। তবে আমাদের অনেকে সে সময় পিছিয়ে ছিল, এখন তারা অনেকে এগিয়ে গেছে। বিরোধী দল কত সিট পাবে বা আমরা কত সিট পাব এভাবে বলতে চাই না। তবে আমরা বিজয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী।

তাদের সরকারের অধীনে এর আগে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে যে অভিযোগ রয়েছে সে সম্পর্কে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হলে আমরা রংপুর, সিলেট ও কুমিল্লায় কেন হারলাম। এসব কথা সঠিক নয়।

দলের ইশতেহারের বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলা যাবে না। জোটের দলগুলো আলাদা আলাদা ইশতেহার প্রকাশ করবে। তবে সব কিছু প্রকাশ হলেই বলা যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীরই ইশতেহার প্রকাশ করার সম্ভাবনা বেশি। তবে কোনো তারিখ ঠিক হয়নি।

বিএনপিই লেজেগোবরে অবস্থায় আছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, রিজভী সাহেব (বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব) যা বলেছেন, তাতে বিএনপিই লেজেগোবরে অবস্থার মধ্যে আছে। আমরা তো তার কথা শুনেছি, এ নির্বাচনের জন্য বিএনপি নিজেরাই লেজেগোবরে অবস্থায় আছে। কাকে কোথায় নমিনেশন দেবে সেটা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছে। তাদেরকে আয়নায় নিজেদের চেহারাটা দেখতে বলেন।

কাদের বলেন, প্রতীকের বিষয়ে যারা নৌকা নেবে তারা নেবে। আরা যারা নেবে না তারা নেবে না। আর জাতীয় পার্টি লাঙ্গল নিয়েই করবে। এখন যুক্তফ্রন্ট কেউ নৌকায় করতে চাইলে সেটা সম্ভব কি না সেটা ইসি থেকে জেনে নিতে হবে।

পদত্যাগ করা চার মন্ত্রীর বিষয়ে কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন বলতে কোনো সরকার নেই। এখানে চারজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী থাকতে পারবে না। এটা ইলেকশন টাইমে থাকতে পারবে না, এটা সুনিশ্চিত। প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে দিলে তিনি অ্যাপ্রুভ করবেন। তবে এটা হয়ে যাবে।

মন্ত্রী কমতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিছু বলেনি। তবে বাড়বে না এটা পরিষ্কার।

কাদের বলেন, আমাদের যারা নির্বাচন নিয়ে বিদ্রোহ করবে তারা তাদের সারাজীবনের রাজনীতি শেষ করে দেবে। আমাদের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ আছেন, থাকবেন।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –