• শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৫ ১৪৩১

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কুল চাষে সফল কৃষক

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

ঠাকুরগাঁওয়ে দিনদিন বেড়ে চলছে কুল চাষ। বলসুন্দরী ও কাশ্মীরী কুল বাগান করে সফলতার মুখ দেখেছেন আমানুল্লাহ নামে এক কৃষক। গত বছর চার লাখ টাকার বিক্রি হলেও এবারে ১০ লাখ টাকার কুল বিক্রির আশা তার। পাশাপাশি তার বাগানে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক মানুষের। তার সফলতা দেখে কুল বাগানে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেক বেকার যুবক। 

আমানুল্লাহ’র কুল বাগানের ছোট-বড় গাছ ফলনে ভরে গেছে। পুরো বাগানে থোকায় থোকায় কুল নুয়ে পড়ছে। 

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কর্নাইট কুমারগঞ্জের বাসিন্দা আমানুল্লাহ আমান। টেলিভিশনে কুল চাষের সফলতার গল্প দেখে মুগ্ধ হন তিনি। সিদ্ধান্ত নেন কুল বাগান করার। চার বছর আগে খুলনা থেকে ৫০০ গাছের চারা নিয়ে আসেন। বাড়ির পাশে আবাদি জমিতে শুরু করেন বাগান। নয় মাস পর থেকেই গাছে ফলন আসা শুরু করে। এরপর থেকে আর ফিরে থাকাতে হয়নি তাকে।

বর্তমানে তার বাগানে সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে ৪৫০টি কাশ্মীরী ও বলসুন্দরী প্রজাতির কুল গাছ রয়েছে। গত চার বছর প্রতিবারে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার কুল বিক্রি করেছেন তিনি। তবে এবার ফলন দ্বিগুণ হওয়ায় প্রায় ১০ লাখ টাকার কুল বিক্রির আশা তার।

জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁওয়ে সাত হেক্টর জমিতে ১৪টি কুল বাগান রয়েছে। বাগান গুলোতে বলসুন্দরী, থাই কুল-২, আপেল কুল-১, কাশ্মীরী ও দেশি কুল- এ পাঁচ প্রজাতির কুল চাষ হয়ে থাকে।

বাগান মালিক আমানুল্লাহ আমান বলেন, টেলিভিশনে কুল চাষের গল্প দেখে চার বছর আগে বাগান শুরু করি। আবাদি জমিতে বাগান করাই অনেকে বিষয়টি নিয়ে নানাবিধ মন্তব্য করেছিলেন। আমি মানুষের কথাকে পাত্তা না দিয়ে কুল চাষ করে আজ সফল হয়েছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকেই কুল বাগান করার জন্য আমানুল্লাহ আমানকে আগ্রহী করে তোলা হয়। আমাদের পক্ষ থেকে তদারকি ও কারিগরি সহায়তা করা হচ্ছে। এছাড়া নতুন কেউ কুল বাগানে আগ্রহী হলে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –