• শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া’

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও-২ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘নির্বাচন আসলেই বিএনপি-জামায়াত মিথ্যাচার ও অপরাজনীতি করে। ঠিক এখন আবারও মিথ্যাচার শুরু করে দিয়েছে। কালে যাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি, তারা আবারও বের হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া।’

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলের ধর্মগড় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় কাউন্সিল বাজার দাখিল মাদরাসা মাঠে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।

মাজহারুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘যমুনা সেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছিলেন। যার ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ হয়েছে। আজকে আপনারা দেখেন যমুনা সেতুর পাশে আরেকটি রেল সেতু হচ্ছে। এখন আমরা খুব অল্প সময়ে ট্রেনে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে পারব। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পেরেছি। শিক্ষার মান উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে উনাদের সম্মান বাড়ানো হয়েছে। এই এলাকার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন একাডেমিক ভবন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েছে। প্রতি উপজেলায় মডেল মসজিদ হয়েছে। হরিপুর ও বালিয়াডাংগি উপজেলায় মডেল মসজিদ হয়েছে।’

মাজহারুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, আমরা রংপুরকে বিভাগ হিসেবে পেয়েছি এই সরকারের কল্যাণে। ঠাকুরগাঁওয়ের মত জেলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন যে এখানে বিশ্ববিদ্যালয় হবে। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি বর্ধিত কমিশনে বিশ্ববিদ্যালয়টি অনুমোদন পেয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার অবিচল নেত্রীত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের গর্ব পদ্মা সেতু হয়েছে। যে সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। এক সময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন দেশের অর্থায়নে কোনদিন সম্ভব না। এই সেতু কেউ বানাতে পারবে না।

এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, যে রাস্তাগুলো এখনও পাকা করা হয়নি, তা আগামীতে শতভাগ করা হবে। উপস্থিত সবাইকে তিনি প্রশ্ন করেন এটা বাদে আর কোনো উন্নয়ন বাদ আছে? এ সময় সবাই চুপ থাকেন।

তিনি বলেন, আমরা সব জায়গায় উন্নয়ন করেছি। কেউ বলতে পারবে না যে এই এলাকায় উন্নয়ন করা হয় নাই। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ কর্মীদের অনুরোধ করেন যেন সাধারণ মানুষের কাছে এই দেশের উন্নয়ন সকলের কাছে তুলে ধরে। আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে নিজেকে গর্ব বোধ করি। এই দল করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেয়ে ধন্য আমি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সহিদুল হক বলেন, বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। এক ভাগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আরেকটি হচ্ছে পাকিস্তানের পক্ষে। আমরা জানি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। সর্ব শেষ চেষ্টা করা হয়ে ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা করে। কিন্তু আপনাদের দোয়ায় উনি সেদিন বেঁচে গিয়েছিল। এখনো কোটি কোটি টাকা খরচ করে আমাদের নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আপনারা যতই আন্দলন করেন না কেন এই দেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। আপনাদের বিষ দাঁত ও কালো হাত ভেঙে দেওয়া হবে।

এক জরিপে দেখা গেছে, দেশে ৭০ ভাগ জনগণ এই সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে চায়। আন্দোলনের চ্যাম্পিয়ান হচ্ছে আওয়ামী, রাজপথে আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। এই নির্বাচন যেকোনো মূল্যে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। যদি ক্ষমতায় না আসে তবে এই দেশ আবার পঞ্চাশ বছর পিছিয়ে যাবে।

এ সময় ধর্মগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক আহমেদ হোসেন বিপ্লব, ধর্মগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মুকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানসহ প্রমুখ।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –