• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঠাকুরগাঁওয়ে রঙিন মাছ চাষে সফল মর্তুজা

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২৩  

 
বাড়ির ছাদে বিভিন্ন প্রজাতির বাহারি রঙের মাছ চাষ করে প্রতিমাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের গোলাম মর্তুজা মনা৷ শখের বসে রঙিন মাছ চাষে পেয়েছেন ব্যাপক সফলতা। তার সফলতায় বিদেশি জাতের এমাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকেই৷ 

ইট, পাথর, সিমেন্টে গড়া ভীষণ ব্যস্ত জীবন ব্যবস্থায় এক পলকের জন্য চোখ আটকে যায় বাহারি রঙ বেরঙের অ্যাকুরিয়ামের ওপর৷ ক্রমশ এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। মনের তৃপ্তির পাশাপাশি শোভাবর্ধক হিসেবে কাজ ঘরের মধ্যে কাচের শিট দিয়ে ঘেরা এক কৃত্রিম জলাধার। বাড়ির ছাদকে কাজে লাগানোর ভাবনা থেকে রঙিন মাছ চাষ করে সফল হয়েছেন এক চিকিৎসক। 

ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের সরকারপাড়ার বাসিন্দা গোলাম মর্তুজা মনা। পেশায় তিনি একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। আড়াই বছর আগে শখের বসে শুরু করেন রঙিন মাছ চাষ। বাজারে চাহিদা থাকায় বছর ঘুরতে না ঘুরতে সফলতার মুখ দেখেন তিনি৷ স্বল্প সময়ে তার এমন সফলতা দেখে রঙিন মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকে৷

জেলা মৎস্য অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, জেলায় বিদেশি জাতের রঙিন মাছ চাষ করেন ২০ জন উদ্যোক্তা। এরমধ্যে এ মাছ চাষে সফলও হয়েছেন অনেকে। আর ক্রমশ বাড়ছে এ মাছ চাষের প্রবণতা৷ 

মনার খামারে গাপ্পি, গোল্ড ফিশ, কমেট, কই কার্ভ, ওরেন্টা গোল্ড, সিল্কি কই, মলি, গাপটিসহ ২০ প্রজাতির রঙিন মাছ আছে৷ প্রতি মাসে গড়ে মাত্র ৫০০ টাকার খাবার খরচ হয় তার। খামার থেকে পাইকারির পাশাপাশি বিক্রি করা হয় খুচরা দরে। মাছ বিক্রি করেই প্রতি মাসে আয় করছেন ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা৷

সফল উদ্যোক্তা গোলাম মর্তুজা মনা বলেন, বাড়ির ছাদকে কাজে লাগানোর দৃঢ় প্রত্যয়ে শখের বসে রঙিন মাছ চাষ শুরু করি৷ অনেক অল্প সময়ের মধ্যে সফলতা পেয়েছি।  

তিনি আরো বলেন, মৎস্য অধিদফতর ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা আরো বেশি পেলে মাছ চাষের পরিধি বাড়াতে চাই। সেই সঙ্গে কেউ যদি আগ্রহী হয় আমার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করব। 

ঠাকুরগাঁও জেলা মৎস্য সম্পদ কর্মকর্তা খালিদুজ্জামান বলেন, জেলায় আগের চেয়ে বেড়েছে বিদেশি প্রজাতির রঙিন মাছ চাষ। উদ্যোক্তা গোলাম মর্তুজার পাশাপাশি নতুন কেউ রঙিন মাছ চাষ আগ্রহী হলে সার্বিক সহযোগী করা হবে। 

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –