• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৭ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

২০০ বছরের আম গাছ দেখতে ভিড়

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২৩  

গাছটি অনেকটা ঢেউয়ের মত। কাণ্ড থেকে বের হয়েছে গাছটির ২০টি শাখা। শাখাগুলোর দৈর্ঘ্য ৪০ থেকে ৬০ ফুট। গাছের প্রতিটি ডালে অনায়াসে হাঁটাচলা ও বসা যায়। ডালগুলো একেকটা আস্ত গাছের মতো। প্রায় এক একর জায়গাজুড়ে গাছটি। ঈদ কিংবা বিশেষ দিনে ২২০ বছরের সূর্যপুরী আম গাছটিকে দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল নামে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিণমারীর নয়াবস্তী গ্রামে।

জানা যায়, সূর্যপুরী আমের জন্য বিখ্যাত ঠাকুরগাঁও। আর নয়াবস্তী এলাকার বিশাল আকৃতির আম গাছটির বয়স ২২০ বছর বলে জানা গেছে। বছরের দুই ঈদে গাছটি দেখতে নামে মানুষের ঢল। এমনকি প্রতি বছর ১ থেকে ২ লাখ টাকায় বিক্রি হয় গাছটির আম। দর্শনার্থীদের টিকিটের টাকায় গাছটির পরিচর্যাসহ দেখভাল করেন গাছটির মালিক সাইদুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেন।  

তারা জানান, ঈদ উপলক্ষে প্রতিবারের মত তিন বিঘার সূর্যপুরী আম গাছটিকে দেখতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। ঈদের দিন থেকে কমপক্ষে সাত দিন অনেক দর্শনার্থীর আগমন ঘটে এখানে।

গাছটি দেখতে এসেছিলেন মাহবুর আলম সোহাগ নামে এক যুবক। তিনি জানান, জীবিকার প্রয়োজনে ঢাকায় থাকেন। তবে নিজ জেলায় অবস্থিত বড় আম গাছটিকে সময় পেলেই এক নজর দেখতে আসেন তিনি। ঠাকুরগাঁওবাসীর গর্ব এ আম গাছটি। 

নীলফামারী থেকে আসা দর্শনার্থী কামরুল হাসান বলেন, এত সুন্দর আর এত বড় আম গাছ জীবনে প্রথম দেখলাম। গাছটি আমও কিনে নিয়েছে। তবে সময় পেলেই আবার এখানে আসব। 

বীরগঞ্জ থেকে আসা কলিকা রানি বলেন, ‘অনেক দিন ধরে গাছটি দেখার ইচ্ছা ছিল। নানা কারণে সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। আজ আসার পর দারুণ লাগছে।’

গাছটির মালিক সাইদুর রহমান জানান, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া গাছটির বয়স আনুমানিক ২২০ বছর। গাছটি দেখতে বিভিন্ন জেলা থেকে আসে মানুষ। আবহাওয়া ভালো থাকলে ১০০ থেকে ৩০০ মণ পর্যন্ত আম পাওয়া যায়। ঈদের সময় হাজার হাজার মানুষ দেখতে আসে। প্রতি জনের কাছ থেকে ২০ টাকা করে নিয়ে থাকি। সেই টাকা দিয়ে গাছটির পরিচর্যাসহ সার্বিক উন্নয়নের কাজ করি। 

তিনি আরো বলেন, বিশেষ দিন কিংবা দুই ঈদে এখানে অনেক মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসে। গাছের প্রতিটি ডালে অনায়াসে হাঁটাচলা ও বসা যায়। এক কথায় দর্শনার্থীদের মন জুড়িয়ে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে এখানে একটি পিকনিক স্পট গড়ে তুলব। এ কারণে আমরা জায়গাটি একটু সুন্দর করার চেষ্টা করেছি।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, আমগাছটি ঠাকুরগাঁওয়ের গৌরব। প্রায় এক একর জায়গাজুড়ে গাছটি। গাছটি কীভাবে আরো বেশি দিন বেঁচে থাকে, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। যারা এই আম গাছ দেখতে আসেন, তারাই আম কিনে নিয়ে যান। আমের মৌসুমে গাছের পাশেই তা বিক্রি করা হয়। ঈদের সময় গাছটি দেখতে নামে মানুষের ঢল।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –