• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৭ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঠাকুরগাঁওয়ের ‘বিগবস’ কিনলেই ফ্রি মোটরসাইকেল

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২৩  

 
ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী তালতলা গ্রামের বাসিন্দা আফিল উদ্দীন দীর্ঘ ছয় বছর ধরে বিদেশি জাতের একটি ষাঁড় লালন-পালন করছেন। বর্তমানে তার ষাঁড়টির ওজন প্রায় ১৭০০ কেজি। আকৃতি ও চলনবলনে ষাঁড়টির নাম রাখা হয় ‘বিগবস’।

গত বছর এর ওজন ছিল প্রায় সাড়ে ১৫০০ কেজি দাম। দাম হাঁকা হয়েছিল ৩০ লাখ টাকা। ষাঁড়টির ওজন বাড়লেও দাম বাড়ানো হয়নি। এমনকি সঙ্গে ফ্রি থাকছে ১৬০ সিসি’র পালসার বা এ্যাপাচি আরটিআর মোটরসাইকেল।

জানা গেছে, ছয় বছর আগে মাত্র ৯০ দিন বয়সে ও ২৭ কেজি ওজনের এই গরুটিকে কেনেন আফিল উদ্দিন। তখন থেকে প্রাকৃতিক খাবার ও ফলমূল খাইয়ে ষাঁড়টিকে বিশাল আকৃতির করেছেন তিনি। গত বছর এর দাম ২২ লাখ টাকা বললেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় বিক্রি করেননি তিনি। এবার আশা করছেন কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রয় করতে পারবেন।

গরুটি লম্বায় ১০ ফিট ও উচ্চতায় ৫ফিট ১০ ইঞ্চি। এর ওজন বলা হচ্ছে ১৭০০ কেজি অর্থাৎ সাড়ে ৪২ মন। আর এই বিশাল আকৃতির গরুটিকে এক নজর দেখার জন্য স্থানীয়রাসহ অনেক দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন শতশত মানুষ। এতে গত বছরের মতো এবারও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ষাঁড়টি ও তার মালিক আফিল উদ্দিন।

স্থানীয়রা বিজলি আক্তার নামে এক গৃহবধূ বলেন, নিজের সন্তানের মতো যত্ন করে গরুটিকে বড় করেছেন আফিল উদ্দিন ও তার স্ত্রী। তাদের দেখে আমাদের এখানকার অনেকে এভাবে গরু লালন পালন কররা পরিকল্পনা করছে।

আল আমীন নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ‘আগে এতো বড় আকৃতির গরু কখনো দেখিনি। এটাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গরু বলে মনে হচ্ছে আমার কাছে। এবার ন্যায্য ও কাঙ্ক্ষিত মূল্যে গরুটি বিক্রয় হবে প্রত্যাশা করছি।

গরুকে মোটাতাজা করার জন্য কোন প্রকার ঔষধ ব্যবহার করা হয়নি। ৬ বছর ধরে বিগবসকে খেসারির ডাল, ভুষি, ছোলাবুট, মসুর ডাল ও খুদি খাওয়ানো হয়েছে। এছাড়াও ফল হিসেবে আপেল, কমলা, আঙ্গুর, কলা ও ডাব খাওয়ানো হয়। এতে সাড়া দিনে প্রায় আড়াই হাজার টাকার খাবার খাওয়ানো হয় বলে জানান ষাঁড়টির মালিক।

আফিল উদ্দিন বলেন, এই ষাঁড়টিকে কোরবানির আশায় এতো বড় করেছি। তাই যাতে কোরবানির জন্য ক্রেতারা ক্রয় করতে পারেন সেজন্য এর দাম বাড়াইনি। গতবছর ৩০ লাখ টাকা দাম রেখেছিলাম ও ক্রেতাকে উপহার হিসেবে ১৬০ সিসি’র পালসার অথবা এ্যাপাচি আরটিআর মোটরসাইকেল দিতে চেয়েছিলাম। এবারও দেওয়া হবে।

জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এমন বড় আকৃতির বা ওজনের দ্বিতীয় গরু জেলায় নেই। আফিল উদ্দিন এই ষাঁড়টিকে খুব যত্নসহকারে মাংসের জন্য লালন পালন করেছেন। গরুটিকে কোন খারাপ মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়নি ও গরুটিকে পালনে যথাযথ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –