• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৭ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিমানবন্দর চালু হলে বদলে যাবে ঠাকুরগাঁও

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৩  

বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ের অর্থনীতি বেশ মজবুত। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে অসংখ্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এ জেলায়। তাই এ জেলার ভাগ্য বদলে বিমানবন্দরটি আবার চালু করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা যায়, ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরে ১৯৮০ সালে সর্বশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করা হলেও বিমানবন্দরের কর্মরত জনবল বহাল ছিল ১৯৮২-৮৩ সাল পর্যন্ত। ঐ সময়ে ডা. ইউসুফ বাসভবন থেকে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরের অফিস আশ্রমপাড়া স্থানান্তর করা হয়। ১৯৯৪-৯৫ সালে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে রানওয়ের সংস্কারসহ বিমানবন্দরের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়।

১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল অ্যারো বেঙ্গল এয়ারলাইনস, জিএমজি এয়ারলাইনসহ একাধিক প্রাইভেট কোম্পানিকে। কিন্তু তা আর কার্যকর করা হয়নি। ১৯৯৬ সালে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হয়। ধীরে ধীরে বিমানবন্দরটি আবারো পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।

নভোএয়ার এয়ারলাইন্স ট্রাভেল এজেন্সি ঠাকুরগাঁও শাখার ম্যানেজার হুসেইন আল মামুন বলেন, ট্রাভেল এজেন্সি গড়ে উঠলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। আমাদের এমডি বিভিন্ন প্রোগ্রাম বলেছেন বাংলাবান্ধা পোর্টটি চালু হলে জরুরি হয়ে যাবে ঠাকুরগাঁওয়ের বিমানবন্দরটি। সে কারণে সেটি চালু করা এখন জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঠাকুরগাঁও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চাই ও বিমানবন্দর চাই আন্দোলন কমিটির সদস্য রুবেল হোসেন বলেন, এ জেলাটি কৃষি নির্ভর। মূলত এ জেলার মাটি তিন ফসলি। সে কারণে এর অর্থনীতি বেশ মজবুত৷ এটি চালু হলে প্রায় ৪০ লক্ষাধিক মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হবে। সেই সঙ্গে স্বল্প সময়ের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গা যাওয়া সহজতর হবে। আমরা বিমানবন্দরটি পুনরায় চালুর জোর দাবি জানাচ্ছি।

ঠাকুরগাঁও চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের সাবেক পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, সময়ের ঘুরপাকে এখন বিমানে যাতায়াত আর বিলাসিতা নয়। বরং এটি এখন মানুষের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার অনেক পরিচিত ব্যবসায়ী রয়েছেন শুধু মাত্র দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ার জন্য এখানে ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন না। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যদি বিমানবন্দরটি চালু করা হয় তবে তারা অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান এখানে গড়ে তুলবেন। আর কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেই জেলার অর্থনীতির চাকা আরো বেগবান হবে বলে আশা করছি।

ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, বিমানবন্দরটি চালু করার জন্য কয়েক দফায় সংশ্লিষ্ট দফতরে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। এটি চালু হলে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান বদলে যাবে। সেই সঙ্গে সামাজিক উন্নয়নও ঘটবে। আমরা আশা রাখছি এটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করার সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।

ঠাকুরগাঁও -১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি বলেন, আওয়ামী লীগের সরকার উন্নয়নের সরকার৷ এরই মধ্যে জেলায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা ও বাস্তবায়নের জন্য সরকার কাজ করছে। বিমানবন্দরটিও আবারো চালু করবে এ সরকার।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –