শিশুর জন্মগত হৃদরোগ
ডেস্ক রির্পোট
দৈনিক ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০১৮
জন্মগত হৃদরোগ এমনই একটি রোগ যার শুরু মায়ের গর্ভে। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি ১০০০ জন জীবিত শিশুর মধ্যে ৮ জন শিশু জন্মগত হৃদরোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
এই ১০০০ জনের ৮ জনের মধ্যে আবার ২-৩ জনের রোগের লক্ষণ জন্মের প্রথম ৬ মাসের মধ্যেই নানাবিধ উপসর্গ সহ প্রকাশ পায়। বাকিদের পরবর্তীতে জীবনের যেকোনো সময় তা প্রকাশ পেতে পারে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২৫ থেকে ৩০ হাজার শিশু জন্মগত হৃদরোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। আজকে আমরা জন্মগত হৃদরোগ নিয়ে আলোচনা করব।
জন্মগত হৃদরোগ কাকে বলে: মায়ের গর্ভে থাকাকালীন অবস্থায় শিশুর হৃদযন্ত্র তৈরি ও বিকশিত হবার প্রাক্কালেই যদি কোনো প্রকার ত্রুটি হয় এবং শিশু সেই হৃদযন্ত্র নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়, তবে তাকে জন্মগত হৃদরোগ বলে। অনেক সময় একে শিশুর হার্ট এ ফুটা বা ছিদ্র আছে এমন শব্দ ব্যবহার করা হয়।
কারণ:
জন্মগত শিশু হৃদরোগের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায় নাই। তবে গর্ভাবস্থায় ও গর্ভ পরিকল্পনাকালীন সময়ে বিভিন্ন ওষুধ, রাসায়নিক দ্রব্য, রেডিয়েশান, মায়ের ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ, প্রভৃতি রোগ, গর্ভাবস্থায় মায়ের রুবেলা সংক্রমণ ইত্যাদির সাথে শিশু হৃদরোগের যোগসূত্র পাওয়া যায়।
এছাড়াও জেনেটিক কিছু রোগ যেমন– ডাউন সিনড্রোম (Down Syndrome), টারনার সিনড্রোম (Turner Syndrome) নিয়ে জন্মানো শিশুরা হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে।
লক্ষণসমূহ:
জন্মের পর থেকেই ঘন ঘন ঠান্ডাকাশি ও শ্বাসকষ্ট, মায়ের বুকের দুধ টেনে খেতে অসুবিধা ও অল্পতেই হাঁপিয়ে যাওয়া, হাত ও পায়ের আঙ্গুল ও ঠোঁটে নীলাভ ভাব, ওজন ও শারীরিক বৃদ্ধির অপ্রতুলতা ইত্যাদি।
শিশুর প্রতি মায়েদের লক্ষণীয় বিষয়:
(১) শিশুটির জন্মের পর পরই শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিনা ।
(২) ভীষণ রকমের কালচে বা নীলাভ ভাব তার ঠোঁটে বা চামড়ায় দেখা যাচ্ছে কিনা।
(৩) শিশুটির হার্ট বিট যদি অস্বাভাবিক রকমের কম বা বেশি হয় অথবা ছন্দোবদ্ধ না হয়ে অস্বাভাবিক ভাবে চলে।
(৪) বাচ্চাটি জন্মগ্রহণ করার পর মায়ের দুধ পান করার সময় হাঁপিয়ে যায় কিনা।
(৫) অল্প অল্প দুধ পান করে ক্লান্ত হয়ে ছেড়ে দিয়ে আবার কিছু সময় পর দুধ পান করছে কিনা।
(৬) দুধ পান করার সময় শিশুটি অস্বাভাবিক রকমের ঘামছে অথবা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।
(৭) শিশুটি অন্য সব বাচ্চাদের মত ওজনে বাড়ছে না।
(৮) জন্মের পর থেকেই শিশুর বার বার ঠাণ্ডা কাশি লেগেই আছে কিনা এবং সে কারণে বার বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে বা ডাক্তারের কাছে যেতে হচ্ছে।
(৯) শিশুটি কান্নার সময় অস্বাভাবিক রকমের কালো হয়ে যায় এবং একই সাথে শ্বাস কষ্ট হয়। একটু বড় বাচ্চারা খেলার সময় একটু দৌড়াদৌড়ি করলেই কালো হয়ে যায়, শ্বাস কষ্ট হয় এবং উপুড় করে শুইয়ে দিলে বা বড় বাচ্চারা হাঁটু গেড়ে বসলে তাদের স্বস্তি আসে। বড় বাচ্চাদের কখনো কখনো বুকে ব্যথা, বুক ধড়ফড় করা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদিও হতে পারে। উপরের যেকোনো একটি লক্ষন দেখা দিলেই শিশুকে দ্রুত ডাক্তার এর কাছে নিতে হবে।
রোগ নির্ণয়:
সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করতে পারলে বেশির ভাগ হৃদরোগ চিকিৎসায় ভালো হয়। একটি মাত্র পরীক্ষা যদি করা হয় রোগ সনাক্তের জন্য তাহলে সেটা হলো কালার ডপলার ইকোকারডিওগ্রাফী ( Color Doppler Echocardiography)।
এখন মোটামুটি সব হাসপাতাল বা হৃদরোগ সেন্টার, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ইকোকারডিওগ্রাফী পরীক্ষা হয়। এছাড়াও চেস্ট এক্সরে, ইসিজি, হলটার মনিটরিং, ক্যাথ স্টাডি, কার্ডিয়াক সিটি স্কান, এম আর আই ইত্যাদি।
চিকিৎসা:
(১) ওষুধের মাধ্যমে ।
(২) ইন্টারভেনশান বা বিনা অপারেশনে রক্তনালীর মাধ্যমে ।
(৩) সার্জারি বা অপারেশন ।
কিছু জন্মগত হৃদরোগের নাম ও চিকিৎসা পদ্ধতি–
(১) এএসডি- ASD:
> একে এট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট বলা হয়। হার্ট এর ওপরের অংশের দুটি প্রকোষ্ঠের মাঝে একটি অস্বাভাবিক ফুটো থাকার নামই এএসডি।
> এএসডি ছোটো হলে ২-৫ বছরের মধ্যে নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
> বড় এএসডি হলে অথবা নিজে নিজে বন্ধ না হলে অপারেশনের দ্বারা অথবা ক্যাথেটার করে ডিভাইস ক্লোজার (ইন্টারভেনশান বা বিনা অপারেশনে রক্তনালীর মাধ্যমে) করা যায়।
> অনেক সময় পরিণত বয়স বা বার্ধক্যে এসে এই রোগটি ধরা পড়ে।
(২) ভিএসডি- VSD:
> একে ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট বলা হয়। হার্ট এর নিচের অংশের দুটি প্রকোষ্ঠের মাঝে একটি অস্বাভাবিক ফুটো থাকার নামই ভিএসডি।
> বিভিন্ন ধরনের ভিএসডি আছে, খুব জটিল প্রকৃতির না হলে এটাও ২ বছরের মধ্যে নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
> অধিকাংশ ভিএসডি-ই অপারেশনের দ্বারা অথবা ক্যাথেটার করে ডিভাইস ক্লোজার (ইন্টারভেনশান বা বিনা অপারেশনে রক্তনালীর মাধ্যমে) করে বন্ধ করতে হয়।
> এএসডির মত এই রোগটিও অনেক সময় পরিণত বয়স বা বার্ধক্যে এসে ধরা পড়ে।
(৩) টফ (টেট্রালজি অব ফেলট)-TOF:
এটি বেশ জটিল একটি জন্মগত রোগ। হার্ট এর আভ্যন্তরীন চারটি ত্রুটির সমন্বয়ে এই রোগটি হয়। জন্মের সপ্তাহ দুইয়েক পর থেকেই শিশুর শ্বাস কষ্ট দেখা দেয় এবং খাবার সময় অথবা কান্না করলে শিশুটি নীল হয়ে যেতে থাকে। ক্রমান্বয়ে এই লক্ষণগুলো বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং শিশুর শারীরিক বৃদ্ধিও ব্যাপক ব্যহত হয়। মাঝে মাঝে হঠাৎ করেই সে নীল হয়ে যায়, তবে এই মুহূর্তগুলোয় মলত্যাগের ভঙ্গিমায় বসে থাকলে রোগীর আরাম হয়। অপারেশনই এই রোগের একমাত্র চিকিৎসা। অপারেশন না করালে অধিকাংশ শিশু শৈশবেই জীবন হারাতে পারে।
(৪) পিডিএ– PDA:
পুরো নাম প্যাটেন্ট ডাক্টাস আর্টারিওসাস। ফুসফুসের ধমণীর সাথে মহাধমণীর (এওরটা) অস্বাভাবিক সংযোগই পিডিএ। সাধারণত পূর্ণ পরিণত হবার আগেই যেসব শিশু জন্ম গ্রহণ করে তদের এই রোগ বেশি হয়। অভিজ্ঞ চিকিৎসক রোগীকে পরীক্ষা করেই রোগ নির্ণয় করতে পারেন। এটির আকার ছোটো হলে ক্যাথেটার দ্বারা ডিভাইস ক্লোজার (ইন্টারভেনশান বা বিনা অপারেশনে রক্তনালীর মাধ্যমে) বড় হলে সার্জারি করা লাগে। জন্মগত হৃদরোগ প্রতিরোধে করনীয় –
(১) মহিলাদের রুবেলা টিকা দেওয়া।
(২) গর্ভাবস্থায় যথাযত পরিচর্যা এবং ফলিক এসিডের ঘাটতি পূরণ করা।
(৩) গর্ভাবস্থায় রাসায়নিক পদার্থ ও তেজস্ক্রিয়তা থেকে সতর্ক থাকা।
(৪) গর্ভধারণের পূর্বেই ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, খিচুনি জাতীয় রোগে আক্রান্ত মায়েদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ।
(৫) শিশুর সুন্দর–সুস্থ স্বাভাবিক জীবন আমাদের কাম্য । সময়মত সমস্যাগুলো নির্ণয় ও তার সঠিক চিকিৎসা করে আপনিই পারেন তার চলার পথ সুন্দর ও সাবলিল করতে।
– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত
- মণিপুরে সংঘাতের আবহে মিয়ানমার সীমান্ত কাঁটাতারে ঘিরে ফেলছে ভারত
- ইউক্রেনের ‘বিজয় পরিকল্পনা’ প্রস্তুত, বলছেন জেলেনস্কি
- সিন্ধু নদ চুক্তি : পাকিস্তানকে নোটিশ দিলো ভারত
- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্ব বন্ধে ভোট দিলো বাংলাদেশ
- আরও তিনদিন ভ্যাপসা গরম থাকতে পারে
- চলতি অর্থবছরেই ২ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক: মার্টিন রেইজার
- সব সংকট কাটিয়ে ফের চালু কর্ণফুলী পেপার মিল
- হজরত আদম (আ.) এর দোয়া
- প্রতিরোধের চেষ্টায় জয়সওয়াল-পান্ট জুটি
- শাহ আমানতে আড়াই কোটি বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক
- নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের সঙ্গে মোদির বৈঠক হচ্ছে নাঃ হিন্দুস্তান টাইমস
- ‘শুধু বলতে চাই, যা ক্ষতি হওয়ার হয়েছে’
- লেবাননে হামলার বিষয় আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছিল ইসরায়েল
- সংবিধান সংস্কার কমিশনের নতুন প্রধান আলী রীয়াজ
- সংখ্যালঘুরা আমাদের আমানত: মির্জা ফখরুল
- এইচএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে অক্টোবরের মাঝামাঝি
- পিআইবির ডিজি হলেন ফারুক ওয়াসিফ
- এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট
- প্রাথমিকভাবে শহিদ পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা, আহত ব্যক্তি ১ লাখ
- সেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা কালজানি নদী পাড়ের বাসিন্দাদের
- কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা
- কুড়িগ্রামে দিনব্যাপী স্পেশাল হেলথ ক্যাম্পেইনে
- নতুন দুই উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পেল জাবি
- তরুণরা আমার বই পড়ে অভ্যুত্থানের দিকনির্দেশনা পেয়েছে : ফরহাদ মজহার
- সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ
- সুইস ব্যাংকে জমা অবৈধ সম্পদ ফেরাতে সহযোগিতার আহ্বান
- অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাপ্রধানকে অনুরোধ
- কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে পেয়ারা
- এখনো মার্কিন নাগরিকদের জন্য ভ্রমণের লাল তালিকায় বাংলাদেশ
- এআই প্রযুক্তি উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের ফান্ডিং পেলেন বাংলাদেশি সৃজন
- বিএনপিতে বহিষ্কার আতঙ্ক!
- ছাত্রীর সঙ্গে অধ্যক্ষের ‘আপত্তিকর ভিডিও’ ভাইরাল, পদত্যাগ দাবি
- ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাক্টরের নিচে মুহূর্তে প্রাণ গেল কিশোর রায়হানের
- ভাসমান পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে লাখপতি রুবেল
- নিবন্ধন পেল এবি পার্টি
- হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাবেক মেয়র বন্যা
- সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত গ্রেফতার
- জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের আদেশ বাতিল
- লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম, ভরি ছাড়াল সোয়া লাখ
- দেড় মাস পর বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
- স্মৃতিশক্তি বাড়ায় কারি পাতা
- হাতিরঝিল থেকে সাংবাদিক সারাহের মরদেহ উদ্ধার
- বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে কাদের গনি চৌধুরীকে অব্যাহতি
- ঠাকুরগাঁওয়ে সাবেক এসপি-ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
- বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস
- ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক এমপি সুজন ঢাকায় গ্রেপ্তার
- এইচএসসির বাকি পরীক্ষা হবে না
- ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের ছোবল, হাসপাতালে নেয়ার আগেই ২ জনের মৃত্যু