• শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৫ ১৪৩১

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

যেসব ফল খেতে পারেন ডায়বেটিস হলেও

দৈনিক ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৮  

ডায়বেটিস নামটা শুনলেই মনের মধ্যে একটা আতঙ্ক হয় এবং ভয় কাজ করে। কারণ ডায়বেটিস শরীরে যদি একটুও দেখা দেয় তবেই মন খারাপ হয়ে যায়। যে এখন থেকে কত খাবার বুঝি বাদ দিতে হবে।

 

1.ডায়বেটিস হলেও যেসব ফল খেতে পারেন

কিন্তু বেশি মন খারাপ করার কোনো কারণ নেই। ফলের তালিকায় এমন কিছু ফল রয়েছে যা ডায়বেটিস হলেও খেতে পারবেন। সেসব ফল সম্পর্কে জেনে নিন-

কিউমি ফল ডায়বেটিস রোগীরা খেতে পারেন। যদিও একটি বিদেশি একটি ফল কিন্তু বাজারে গিয়ে চাইলে আজকাল খুব সহজেই এ ফলটি পেয়ে যাবেন। ডায়বেটিস থাকলে কিউমি ফল খেলে কোনো সমস্যাই হবে না। কারণ এ ফলটি আমাদের শরীরের সুগারের লেভেল সমান রাখতে সাহায্য করে থাকে। এ কারণেই ডায়বেটিস রোগীদের জন্য এটা ভীষণ কার্যকরী একটি ফল। তবে আপনার যদি ডায়বেটিসের সঙ্গে অন্য কনো রোগ থাকে তবে এ ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।

কালো জাম ডায়বেটিস রোগীদের জন্য খুবই ভালো। যদিও এ ফলটি গ্রীষ্মকালীন। তবুও আজকাল প্রায় সময়ই এ ফলটি পাওয়া যায়। এ ফল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে। শুধু কালো জাম ফলই নয়, কালো জামের বীজও যদি প্রতিদিন গুঁড়ো করে খেতে পারেন তবে সেটাও কিন্তু ভীষণ উপকারি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য।

টক কামরাঙ্গা খুবই সহজলভ্য একটি ফল। টক কামরাঙ্গা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারি। এ ক্ষেত্রে মিষ্টি কামরাঙ্গা না খাওয়াই ভালো। এটিও কালো জামের মতো একই কাজ করে থাকে। কামরাঙ্গাও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। তাই এটি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

 

পেয়ারা অনেকেরই প্রিয় একটি ফল। পেয়ারাও ডায়বেটিস রোগীদের জন্য খুবই ভালো। পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ডায়োটারি ফাইভার। এ ডায়োটারি ফাইভার থাকার কারণে ডি আই খুবই কম পরিমাণে থাকে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা না বাড়িয়ে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে থাকে। তাই পেয়ারা খেলে ডায়বেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। আপনি ডায়বেটিস রোগী হয়েও অনায়েসে পেয়ারা খেতে পারেন।

ডায়বেটিস রোগীরা কাঁচা বা পাকা যেকোনো ধরণের পেঁপে খেতে পারেন। পাকা পেঁপে যদি মিষ্টি হয়ে থাকে তবে পরিমাণে একটু কম খেতে হবে। পেঁপেতে যেমন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে তেমনি এতে মিনারেলসও রয়েছে। যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারি। তাই ডায়বেটিস রোগী হয়েও অনায়েসেই পেঁপে খেতে পারেন।

আনারসে অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি ইনিফ্লামেটরী ও অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে। যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারি। আনারস শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই ডায়বেটিস রোগী হলেও আনারস খেতে পারেন। তরমুচ শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যোগান দিয়ে থাকে। এটি খুব সহজে ক্ষুদা মেটাতেও সাহায্য করে থাকে। এটি শরীরের পানির ঘাটতিও পূরণ করে থাকে। এছাড়াও ডায়বেটিস রোগীদের জন্যও তরমুচ খুবই উপকারি একটি ফল। ডায়বেটিস রোগীরা তরমুচ যত ইচ্ছা খেতে পারেন। কোনো রকম সমস্যা হবে না। কারণ এতে মিনারেলস ও পুষ্টি উপাদানসমূহ রয়েছে।

 

2.ডায়বেটিস হলেও যেসব ফল খেতে পারেন

ডালিম সুগার বা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য খুব ভালো। কারণ এটি রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনি নিশ্চিন্তে ডালিম খেতে পারেন। ডায়বেটিস থাকলেও কোনো অসুবিধা হবে না।

জামরুল খেতে পারেন ডায়বেটিস রোগীরা। কারণ এটি তরমুচের মতোই শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে। জামরুলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। তাই জামরুল খেলে কোনো পুষ্টি ঘাটতি শরীরে থাকবে না। সেই সঙ্গে এটি রক্তে চিনির পরিমাণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করব। তাই ডায়বেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে জামরুল খেতে পারেন। আমলকীও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রেণে রাখে। তাই ডায়বেটিস রোগীরা আমলকী খেতে পারেন। আমড়া আমলকীর মতো একই ধরণের কাজ করে থাকে। তাই ডায়বেটিস রোগীরা আমড়াও খেতে পারেন।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –