চীনের মহাপ্রাচীর ‘রহস্য’
ডেস্ক রিপোর্ট
দৈনিক ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০১৮
পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি চীনের মহাপ্রাচীর। বলা হয়, এটিই পৃথিবীর একমাত্র স্থাপনা যা চাঁদ থেকেও দেখা যায়। চীনের মহাপ্রাচীরের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬২৭৬ কিলোমিটার। তবে এই প্রাচীরের শাখা দেয়ালগুলো এক করলে দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় প্রায় ৫৫০০ মাইল। এই মহাপ্রাচীরের চাইনিজ নাম চাংছ্যাং, যার অর্থ লম্বা দেয়াল। ২৩০০ বছরের পুরোনো এই প্রাচীরের আদ্যোপান্ত জানবো আজ!
কে এই মহাপ্রাচীরের নির্মাতা
কিন সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট এই মহাপ্রাচীরটি নির্মাণ করেছেন-এই ধারণা বেশিরভাগ মানুষের। তা আসলে পুরোপুরি সত্য নয়। অনেক ইতিহাসবিদ, অনেক তথ্যের ভিত্তি প্রচলিত এই কথাকে মানতে নারাজ। তাদের মতামত অনু্যায়ী, ঝাউ সাম্রাজ্যের শুরুতে চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেন সম্রাট ঝাউ। তিনি প্রথম রাজ্যের সীমানা বরাবর বড় প্রাচীর তৈরির উদ্যোগ নেয়। খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতাব্দীতে এই কাজ শুরু হয় বলে অনেকের ধারণা। তবে মূল কাজ শেষ হয় কিন সাম্রাজ্যের সময়ই। হান (২০৬ খ্রীষ্টপূর্ব থেকে ২২০ খ্রীষ্টাব্দ) সাম্রাজ্যের সময় এই প্রাচীর আরো দীর্ঘ করা হয়েছিলো।
পরবর্তীতে মিং সাম্রাজ্যের সময় (১৩৬৮-১৬৪৪) চীনের মহাপ্রাচীর সংস্কার করা হয়। তখনই এই প্রাচীর আধুনিক রূপ পায়। তাই অনেকেই চীনের মহাপ্রাচীরকে ‘মিং-এর দেয়াল’ বলে থাকে। ধারণা করা হয়, ১মিলিয়নের অধিক শ্রমিক বিভিন্ন সময়ে এই প্রাচীর নির্মাণের জন্য কাজ করেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই প্রাচীর তৈরীর সময় বেশিরভাগ শ্রমিক মারা যায় এবং অনেককে সে স্থানেই দাফন করা হয়েছিলো।
গৌরবান্বিত এই প্রাচীরটি তৈরীর নেপথ্যে ছিলো কঠোর পরিশ্রম, মেধা ও মননশীলতা। এই প্রাচীরটি তৈরীর সময় আশেপাশে যা পাওয়া গিয়েছিলো প্রায় সব ব্যবহার করা হয়েছিলো। পাথর থেকে কাঠ বাদ যায়নি কিছুই। মিং সাম্রাজ্যের সময় যখন দেয়ালটির পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিলো তখন পাথরের জায়গায় ইট ব্যবহার করা হয়েছিলো!
মহাপ্রাচীরের নেপথ্যে
চীনের মহাপ্রাচীর তৈরীর মূল উদ্দেশ্য ছিলো বাইরের আক্রমণ থেকে সাম্রাজ্যকে রক্ষা করা। সে সময় মঙ্গলীয়রা খুবই আক্রমণাত্মক জাতি হিসেবে পরিচিত ছিলো। তারা বিভিন্ন সাম্রাজ্য জয় করার জন্য তীরন্দাজ বাহিনী গড়ে তোলে, যাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ছিলো প্রায় অসম্ভব। মূলত তাদের রুখতেই এই মহাপ্রাচীর তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। কারণ, কিন সি হিউয়াং চেয়েছিলেন তার উত্তরাঞ্চলের সাম্রাজ্য সম্পূর্ণ শত্রু মুক্ত রাখতে। এজন্যই হাজারটি টাওয়ারসহ একটি বিশাল প্রাচীর তৈরী করা হয়েছিলো। আর এই টাওয়ারগুলোতে সবসময়ই সৈন্য রাখা হতো, যাদের কাজ ছিলো বাইরের শত্রুর গতিবিধির উপর দৃষ্টি রাখা। প্রতিরক্ষার পাশাপাশি সীমান্ত হিসেবেও চীনের মহাপ্রাচীরের বড় ভূমিকা ছিলো সে সময়ে। তাছাড়া বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মহাপ্রাচীরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এটা শুধুই দেয়াল?
মহাপ্রাচীরটি একটা অবিচ্ছিন্ন লম্বা দেয়াল তা সত্য। এছাড়াও এই প্রাচীরটিতে রয়েছে বিভিন্ন টাওয়ার, যেখানে সেনারা পাহারায় থাকতো এবং আরো আছে সেনাদের জন্য আবাসস্থল। ধারণা করা হয় মিং সাম্রাজ্যের সময় প্রায় ১০ লক্ষ সেনা এই মহাপ্রাচীরটির পাহারায় নিয়োজিত থাকতো। এটি ছিলো তাদের সামরিক প্রতিরক্ষার দূর্গ।
ধ্বংসের পথে এই প্রাচীর
বেইজিং-এর দিকে থাকা প্রাচীরটি যে অংশে পর্যটকদের ভ্রমণের সু্যোগ করে দেয়া হয়েছে। সেটা ছাড়া প্রাচীরের অন্যান্য অংশ ধ্বংসের আশঙ্কায় আছে। বর্তমানে প্রাচীরের প্রায় ২০০০ কিলোমিটার অর্থাৎ ৩০ শতাংশ ক্ষয়ক্ষতির শিকার। এর মূল কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যদিও প্রাচীরটি টিকিয়ে রাখার জন্য চীনের সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করে চলছে। মহাপ্রাচীরের সুরক্ষার জন্য আইনও প্রণয়ন করেছে চীন সরকার।
দিনে ৭০ হাজার লোকের ভীড়
চীনের মহাপ্রাচীর দেখতে হাজার হাজার পর্যটক ভীড় জমায় প্রতিদিন। সবচেয়ে বেশি ভীড় হয় বেডেলিং-এর অংশে। ২০০১ সালে এই অংশে প্রায় ৬ কোটি মানুষ পরিদর্শন করতে আসেন। এই প্রাচীর ঘুরতে আসার মৌসুমে পর্যটকের সংখ্যা দিনে ৭০ হাজার ও ছাড়িয়ে যায়!
– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত
- মণিপুরে সংঘাতের আবহে মিয়ানমার সীমান্ত কাঁটাতারে ঘিরে ফেলছে ভারত
- ইউক্রেনের ‘বিজয় পরিকল্পনা’ প্রস্তুত, বলছেন জেলেনস্কি
- সিন্ধু নদ চুক্তি : পাকিস্তানকে নোটিশ দিলো ভারত
- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্ব বন্ধে ভোট দিলো বাংলাদেশ
- আরও তিনদিন ভ্যাপসা গরম থাকতে পারে
- চলতি অর্থবছরেই ২ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক: মার্টিন রেইজার
- সব সংকট কাটিয়ে ফের চালু কর্ণফুলী পেপার মিল
- হজরত আদম (আ.) এর দোয়া
- প্রতিরোধের চেষ্টায় জয়সওয়াল-পান্ট জুটি
- শাহ আমানতে আড়াই কোটি বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক
- নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের সঙ্গে মোদির বৈঠক হচ্ছে নাঃ হিন্দুস্তান টাইমস
- ‘শুধু বলতে চাই, যা ক্ষতি হওয়ার হয়েছে’
- লেবাননে হামলার বিষয় আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছিল ইসরায়েল
- সংবিধান সংস্কার কমিশনের নতুন প্রধান আলী রীয়াজ
- সংখ্যালঘুরা আমাদের আমানত: মির্জা ফখরুল
- এইচএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে অক্টোবরের মাঝামাঝি
- পিআইবির ডিজি হলেন ফারুক ওয়াসিফ
- এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট
- প্রাথমিকভাবে শহিদ পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা, আহত ব্যক্তি ১ লাখ
- সেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা কালজানি নদী পাড়ের বাসিন্দাদের
- কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা
- কুড়িগ্রামে দিনব্যাপী স্পেশাল হেলথ ক্যাম্পেইনে
- নতুন দুই উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পেল জাবি
- তরুণরা আমার বই পড়ে অভ্যুত্থানের দিকনির্দেশনা পেয়েছে : ফরহাদ মজহার
- সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ
- সুইস ব্যাংকে জমা অবৈধ সম্পদ ফেরাতে সহযোগিতার আহ্বান
- অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাপ্রধানকে অনুরোধ
- কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে পেয়ারা
- এখনো মার্কিন নাগরিকদের জন্য ভ্রমণের লাল তালিকায় বাংলাদেশ
- এআই প্রযুক্তি উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের ফান্ডিং পেলেন বাংলাদেশি সৃজন
- বিএনপিতে বহিষ্কার আতঙ্ক!
- ছাত্রীর সঙ্গে অধ্যক্ষের ‘আপত্তিকর ভিডিও’ ভাইরাল, পদত্যাগ দাবি
- ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাক্টরের নিচে মুহূর্তে প্রাণ গেল কিশোর রায়হানের
- ভাসমান পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে লাখপতি রুবেল
- নিবন্ধন পেল এবি পার্টি
- হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাবেক মেয়র বন্যা
- সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত গ্রেফতার
- জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের আদেশ বাতিল
- লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম, ভরি ছাড়াল সোয়া লাখ
- দেড় মাস পর বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
- স্মৃতিশক্তি বাড়ায় কারি পাতা
- হাতিরঝিল থেকে সাংবাদিক সারাহের মরদেহ উদ্ধার
- বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে কাদের গনি চৌধুরীকে অব্যাহতি
- ঠাকুরগাঁওয়ে সাবেক এসপি-ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
- বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস
- ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক এমপি সুজন ঢাকায় গ্রেপ্তার
- এইচএসসির বাকি পরীক্ষা হবে না
- ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের ছোবল, হাসপাতালে নেয়ার আগেই ২ জনের মৃত্যু