• শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

হিমু’ স্রষ্টার জন্মদিন

দৈনিক ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮  

হুমায়ুন আহমেদে

আজকের দিনটা না এলে হিমু পথে পথে হলুদ পাঞ্জাবী পরে হাটতো না, রূপারা অদ্ভুত সুন্দর করে কথা বলতে পারতো না। আর মিসির আলীর সেই অমিমাংসিত জগতের সঙ্গে আমরা হয়তো অপরিচিত হয়েই থাকতাম। কেননা আজ বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির অন্যতম পথিকৃৎ, খ্যাতিমান কথাশিল্পী, চলচ্চিত্র-নাটক নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ৭০তম জন্মবার্ষিকী।

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের এই দিনে নেত্রকেনা জেলার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়েজুর রহমান। মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই বাংলা সাহিত্যের এই সৃষ্টিশীল ও জনপ্রিয় লেখক যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ইন্তেকাল করেন।

বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান আজকের দিনটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

হুমায়ূন আহমেদ দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশক লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া শিক্ষকতায় ছিলেন দীর্ঘদিন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরববর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন নান্দনিক এ কথাসাহিত্যিক।

তার প্রকাশিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বই হচ্ছে, জ্যোছনা ও জননীর গল্প, মধ্যাহ্ন, কিশোর সমগ্র, হিমুর আছে জল, লীলাবতী, হরতন ইস্কাপন, হিমুর বাবার কথামালা, গল্প পঞ্চাশ, আমিও মিছির আলী, হিমু রিমান্ডে, মিছির আলীর চশমা, দিঘির জলে কার ছায়া গো, আজ হিমুর বিয়ে, লিলুয়া বাতাস, কিছু শৈশব,হুমায়ুন আহমেদের ভৌতিক অমনানিবাস, আগুনের পরশমনি, পাপ ৭১, শ্রাবণ মেঘের দিন। তার নির্মিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে শংখনীল কারাগার, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, শ্যামল ছায়া।

সাহিত্যে অবদানের জন্য হুমায়ূন আহমেদ একুশে পদক,বাংলা একাডেমী পুরস্কার,লেখক শিবির পুরস্কার,মাইকেল মধুসূদন পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –