• শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাবলিক টয়লেটে নারীর জন্য আলাদা ব্যবস্থা

ডেস্ক রিপোর্ট :

দৈনিক ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৮  

রাজধানীর পল্টন জিপিও মোড়ের পাশে মুক্তাঙ্গন পার্ক পাবলিক টয়লেট (গণশৌচাগার)। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এই পাবলিক টয়লেটে নারী ও পুরুষ জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এটি নির্মিত হওয়ায় প্রতিদিন অনেক মানুষ ব্যবহার করেন। তবে নারী ব্যবহারকারীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশ কম। এ ছাড়া টয়লেট ব্যবহারকারীদের অনেকেরই অভিযোগ, পাবলিক টয়লেট হিসেবে এখানে বেশি টাকা নেওয়া হয়।

নগরের উন্নত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পাবলিক টয়লেটের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ জানুয়ারি এই পাবলিক টয়লেট উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। সিটি করপোরেশন ও উন্নয়ন সংস্থা ওয়াটার এইডের যৌথ উদ্যোগে এটি পরিচালিত হচ্ছে। এর আগে এই স্থানে কোনও পাবলিক টয়লেট ছিল না।

এখানে টয়লেট করা ও গোসলের জন্য দিতে হয় যথাক্রমে পাঁচ টাকা ও দশ টাকা। খাবার পানি একটাকা। তবে ওজুর জন্য কোনও অর্থ দিতে হয় না।

গত শনিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে গিয়ে দেখা যায়, টাইলস বসানো টয়লেটটি পরিচ্ছন্ন। স্যাঁতসেঁতে ভাব নেই। পুরুষদের জন্য ছয়টি এবং নারীদের জন্য ছয়টি টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। দুই পাশে দুটি গোসলখানা। আছে পানি খাবার ব্যবস্থা।

নারীদের জন্য নির্ধারিত অংশের দরজা দিয়ে ঢুকতেই টিকেট বিক্রেতা নারী বাইরে থেকে পরে আসা জুতা খুলে সেখানে রাখা স্যান্ডেল পরতে বলেন। স্যান্ডেল পরে এগিয়ে যেতেই একজন নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী এগিয়ে এসে বলেন, ‘স্যান্ডেল ভেজাবেন না। তাহলে মেঝে ময়লা হবে না।’

পাবলিক টয়লেটটি ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে। রাজধানীর পল্টন মোড়, জিপিও মোড়, গুলিস্তান বাসস্ট্যান্ডের কাছে হওয়ায় এখানে মানুষের চাপ বেশি। প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ এই পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করছেন। এখানে লকারের ব্যবস্থাও আছে। কেউ লকারে ব্যাগ রেখে যেতে চাইলে তাকে ৩০ টাকা জমা দিতে হয়। ফিরে এসে পাঁচ টাকা দিয়ে বাকি টাকাসহ ব্যাগ ফেরত নিতে পারেন।

জাহিদ হাসান নামের এক ব্যবহারকারী বলেন, ‘এখানকার টয়লেটটা ভালোই। পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন, কিন্তু টাকা অনেক বেশি। একবার বাথরুম করলে পাঁচ টাকা দিতে হয়। ভাবেন একবার! সারাদিনে আপনাকে কয়বার টয়লেটে যাবেন আর কয়বার পাঁচ টাকা করে দিবেন?’

পাবলিক টয়লেটটির সামনে শীতের পোশাক বিক্রির জন্য বসেছেন হকার। মো. আল আমীন। তিনি বলেন, ‘টয়লেট তো করসে ধনী গো লাইগ্যা। আমরা গেলে চলবো? এত ট্যাকা খরচ করলে হয় না!’

পাবলিক টয়লেটের টিকেট বিক্রেতা পারুল বেগম বলেন, ‘আমি তিন মাস ধরে এখানে চাকরি করছি। কোনোদিন নারী সারাদিনে ৫০ জন আসে। আজকে বৃহস্পতিবার আমি দুপুর ২টায় দায়িত্ব শুরু করেছি, এরপর নারী মাত্র দুইজন এসেছে। আমাদের এখানে গোসল করার জন্য ১০-১৫ মিনিট সময় দিই। যারা ওজু করে তাদের কাছ থেকে কোনও টাকা নেওয়া হয় না।’

পারুল বেগম বলেন, ‘নারীরা আসলে আমরা বলে দিই জুতা খুলে যান। কাজ শেষে এসে টাকা দিবেন। ছেলেরা বিভিন্ন রকমের আসে। তাদের সাথে মাঝে মাঝে তর্ক হয়। কেউ কেউ বলে যে, আমি আসছি টাকা দিবো কেন? টাকা দিবো না!’

23

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –